ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

 কৈশোরে থাবা বসাচ্ছে ডিজিটাল আসক্তি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৭, ৭ আগস্ট ২০১৮

সম্প্রতি ভিডিও গেম কিংবা ডিজিটাল গেমের প্রতি আসক্তিকে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা’ তকমা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বড় শহরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ভিডিও গেম কিংবা ডিজিটাল গেমে আসক্তি বাড়ছে। ফলে আচরণগত পরিবর্তন হচ্ছে। ১২-২০ বছর বয়সিদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।

মনোরোগ চিকিৎসকরা বলছেন, এই আসক্তি সম্পর্কে সতর্ক হওয়া জরুরি। তবে আসক্তির মাপকাঠি সম্পর্কেও অভিভাবকদের স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। মোবাইল ব্যবহার কিংবা ভিডিও গেম খেললেই আসক্ত তকমা দেওয়া ঠিক নয়। তাতে অন্য সমস্যা তৈরি হবে।

ডব্লিউএইচও- এর তরফে এই আসক্তির মাপকাঠিও জানানো হয়েছে। দিনের মধ্যে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ভিডিও গেম খেললে কাউকে আসক্ত বলে মনে করা হবে। খেলার কারণে পরিবার কিংবা পড়াশোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আগ্রহ হারানোও আসক্তির অন্যতম লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের হাঁটাচলা, দৌড়নোর মতো কাজ কমতে থাকে, ফলে শারীরিক দক্ষতা কমে। ঘুম কমে যায় বলে জীবনযাপনের ধারাও বদলাতে থাকে।

মনোরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিত্যদিনের কাজে পড়ুয়ারা যত সময় কম দেবে, আসক্তির মাত্রা ততই বেশি বলে বোঝা যাবে।

যষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়া বিশেষত ছাত্রদের মধ্যে গেমে আসক্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি বলে জানাচ্ছেন যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য। তিনি জানান, স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিয়ম ভাঙলে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা হয়। কর্মশালার আয়োজন করে পড়ুয়াদের ডিজিটাল আসক্তি সম্পর্কে সচেতন করা হয়।

স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাড়িতে অবাধে ব্যবহার হচ্ছে। অনেক সময়ে সন্তানদের হাতে মোবাইল তুলে দিয়ে নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করছেন বাবা-মায়েরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাড়িতেই আসক্তি তৈরি হয়। মনোরোগ চিকিৎসক পারমিত সোনি জানান, অনেক প়ড়ুয়ার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ থাকে না। তাই গেমে আসক্ত হয়, আবার অনেকে গেমে আসক্ত হওয়ায় পড়ায় মনোযোগ হারায়। সেটা নজরে রেখে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। এই ধরনের খেলায় সহজেই সাফল্য পাওয়া যায়, তাই আসক্তি দ্রুত বাড়ে। এ জন্য নানা থেরাপি রয়েছে। তবে প্রথমেই প্রয়োজন স্মার্টফোন কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ কমানো।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি